আবদুল মজিদ, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বাশুড় শ্বাশুড়ির নির্মম নির্যাতন ও প্রহারের শিকার স্ত্রী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এঘটনায় এলাকাবাসী ও স্ত্রীর পিতৃালয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানাগেছে, ২০১৫ সালে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক এবং ২লাখ নগদ ৩লাখ বাকি মোট ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে হারবাং ৩নং ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আমিনুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্বনুনাছড়ি গ্রামের ফজল করিমের কন্যা আয়েশা ছিদ্দিকা জিন্নাত (১৯) এর। সুন্দর সংসারে কিছু যেতে না যেতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর চালায় নির্মম নির্যাতন। কয়েকদফা মারধরের পর স্ত্রীর পিতৃালয়ে চলে গেলেও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় পূণরায় স্বামীর সংসারে ফিরে। এরপরও থেমে নেই স্ত্রীর উপর নির্যাতন। ইতিপূর্বে স্বামী আমিনুল ইসলাম স্ত্রীর পিতৃালয়ে গিয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গরু-ছাগল লুটসহ নানান ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর পাষন্ড স্বামী ও শ্বাশুড় বাড়ির লোকজন অসহায় স্ত্রী আশেয়া ছিদ্দিতা জিন্নাতকে হাত-পা বেঁধে বেধম মারধরের এক পর্যায়ে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গেছে মনে করে স্বামী আমিনুল ইসলামসহ শ^াশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের শিকার স্ত্রীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামীসহ শ^াশুর বাড়ির সদস্যরা। পরে স্ত্রীর পিতৃালয়ের লোকজন হাসপাতালে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নির্দেশনায় আশংখাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল ১৬ অক্টোবর রাত পযর্ন্ত জেলা সদর হাসপাতালের ৪ তলার ৩৭ নং সীটে ভর্তি রয়েছেন। আংশিক সুস্থ হলে চিকিৎসাধীন স্ত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা বলেন, তাকে স্বামী আমিনুল ইসলাম, ভাশুর সাইফুল ইসলাম বাদশা, শ^াশুড়ী পারভিন আক্তার ও শ^াশুর আবুল কাসেম উপর্যপুরী মারধর-নির্যাতন করেন।